বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
চঞ্চল সাহা: কলাপাড়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ফাইনাল পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। পৌরশহরের ঐতিহ্যবাহী দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই প্রশ্নপত্রে পৃথক সময়ে পরীক্ষা নেয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।
অভিভাবকদের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের প্রশ্নেপত্রে গত ২৮ নভেম্বর থেকে খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হয় ১৩ ডিসেম্বর। এতে ওই সমিতির প্রশ্নে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষা শুরুর সময় নির্ধারন করে দেয়া হয়। অথচ প্রতিষ্ঠান দু’টি ভিন্ন সময় পরীক্ষা চালিয়ে নেয়ায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিদিন ১টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষা শুরু করে। অপরদিকে, খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুরু করে বেলা ১১ টার দিকে। ফলে এ প্রশ ফাঁস হয়ে যায় । যা প্রতিদিন কতিপয় শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে যেত। তবে এ প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার সাথে স্কুল শিক্ষকরা জড়িত বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁর স্কুল থেকে কোন শিক্ষার্থী প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত নয়। তাদের ১১ টার পরীক্ষা শুরু হতো,শেষ হতো ১টা ৩০ মিনিটে। অপরদিকে, সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের সময় পরীক্ষা শুরু হতো। ফলে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে না। তবে কতিপয় শিক্ষক যারা শিক্ষার্থীদের বাসা-বাড়ীতে কিংবা কোচিং সেন্টারে কোচিং করায় তাদের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে সমিতির সময় অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। তবে একই সময় পরীক্ষা নিতে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বলা হলেও তারা তা মানেননি। তবে ভবিষ্যতে সমিতির প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, গত একমাস আগে পরীক্ষা শেষ হলেও প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি জানেন না মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মো.মোকলেছুর রহমান। তিনি বলেন’ একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিলে একই সময় নিতে হবে। তবে সমিতির প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি জানেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অপরদিকে, শিক্ষার্থী অভিভাবক নাসির তালুকদার জানান, যেহেতু সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সমিতির প্রশ্নেপত্রে পরীক্ষা নেয়ার নিয়ম নাই। সেখানে যেমন পরীক্ষা নিয়ে অন্যায় করেছে,তেমনি ভিন্ন সময়ে দু’টি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা নিয়েও অন্যায় করেছে। এটা কাম্য নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা জানান, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের দ্বারা এমন ভুল অনাকাখিংত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply